Saturday, August 2, 2025

ময়নাতদন্ত ছাড়াই সংঘর্ষে নিহত ৪ জনের লাশ নিয়ে গেছে স্বজনরা

আরও পড়ুন

গোপালগঞ্জে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে স্থানীয় আওয়ামী লীগ (কার্যক্রম নিষিদ্ধ) ও ছাত্রলীগের (নিষিদ্ধ) নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে নিহত চার জনের লাশ হাসপাতাল থেকে নিয়ে গেছেন স্বজনরা। তারা ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ জোরপূর্বক হাসপাতাল থেকে নিয়ে যান বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।

বুধবার (১৬ জুলাই) রাতে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ডা. জিবিতেষ বিশ্বাসও লাশ জোরপূর্বক নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

জানা গেছে, সংঘর্ষে নিহতদের লাশ গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে রাখা হলে স্বজনরা ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে যান।

আরও পড়ুনঃ  জুলাই হত্যাকাণ্ডের গোপন কল রেকর্ড, ফরেনসিকে ৩ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির ফোন

এ বিষয়ে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ডা. জিবিতেষ বিশ্বাস গোপালগঞ্জ পুলিশ সুপার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের কপি দেখালেও তার ছবি তোলার অনুমতি দেয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

সংঘর্ষের ঘটনায় নিহতরা হলেন গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার থানাপাড়া এলাকার
রমজান কাজী (২৪) ও সোহেল (৩৫), পাড়া গ্রামের ইমন (১৬) ও শহরের পোস্ট অফিস মোড় এলাকার দীপ্ত সাহা (২৮)।

উল্লেখ্য, সারা দেশে মাসব্যাপী পদযাত্রার অংশ হিসেবে বুধবার গোপালগঞ্জে যান এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা। এর আগে মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) রাতে তারা এটিকে ‘লং মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ হিসেবে নামকরণ করে। এরপর উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। গোপালগঞ্জের স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা এটি প্রতিহতের ঘোষণা দেন।

আরও পড়ুনঃ  শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে আমাদের দাঁড়ানো যাবে না: নাসির উদ্দিন

এনসিপির নেতাদের গাড়িবহর গোপালগঞ্জে যাওয়ার পথে পথে বাধা পায়। সকালে পুলিশ এবং ইএনওর গাড়িতে হামলা চালানো হয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাদের দায়ী করা হয়।

দুপুরে গোপালগঞ্জের পৌর পার্কে এনসিপির সমাবেশস্থলে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়। হামলার কিছুক্ষণ পর সেখানে পৌঁছান এনসিপির নেতারা। তারা সেখানে স্লোগান ও বক্তব্য দেন। সমাবেশ শেষে তারা মাদারীপুরের উদ্দেশে রওনা দিলে তাদের গাড়িবহর ঘিরে হামলা করা হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এনসিপি নেতাদের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে নিয়ে যায়। এরপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ বাধে। এতে এখন পর্যন্ত চার জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ