Sunday, August 3, 2025

একযোগে গণঅধিকার পরিষদের ১২ নেতার পদত্যাগ

আরও পড়ুন

সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক কমিটি গঠনের একদিন পরেই সেই কমিটিকে ‘পকেট’ ও ‘ভুয়া’ আখ্যায়িত করে ঘোষিত কমিটি থেকে একযোগে ১২ জন নেতা পদত্যাগ করেছেন।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় গোলাপগঞ্জ উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের কার্যালয়ে তাৎক্ষণিক এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের দলীয় প্যাডে স্বাক্ষর দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে একসাথে তারা পদত্যাগ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়া ১২ নেতা হলেন- তাজ উদ্দিন, সুহেল আহমদ, এইমএম হাসান, আব্দুর রহিম, শাকের আহমদ শাকিল, মর্তুজ আলী, শাহাব উদ্দিন, শুয়াইব আহমদ, খালেদ আহমদ, এমরান আহমদ, আমীর আলী ও মিজানুর রহমান।

এসময় গোলাপগঞ্জ উপজেলা গণঅধিকার পরিষদ নেতা এনামুল হক সাজু, দুলাল আহমদ, বেলাল মিয়া, মাসুক উদ্দিন, কবির আহমদ, এনামুল হক পাপ্পু, জামিল হোসেন ও মোহাম্মদ ইব্রাহিম, বিয়ানীবাজার উপজেলা গণঅধিকার পরিষদ নেতা বিবেকানন্দ দাস, পঙ্কজ কুমার চৌধুরী, আলী এমরান সুমন, আব্দুস শুক্কুর, আবুল কাশেম পল্লব, আবু সুফিয়ানসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুনঃ  পুকুরে গোসল করতে নেমে দুই শিশুর মৃত্যু,অতঃপর যা জানা গেল

এসময় পদত্যাগকারী নেতারা দীর্ঘদিন ধরে গণঅধিকার পরিষদের রাজনীতির সাথে রয়েছেন উল্লেখ করে বলেন, গত ১৫ জুলাই গণঅধিকার পরিষদ সিলেট জেলা কর্তৃক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সৈয়দ আলবাব হুসাইনকে আহ্বায়ক ও আব্দুস সামাদকে সদস্য সচিব করে আগামী ৬ মাসের জন্য গোলাপগঞ্জ উপজেলার আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন প্রদান করেছেন, যা আমাদের সবার মতামতের বাইরে এবং অপরিচিত লোকজন দিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমরা এ কমিটি মানি না। এটি একটি পকেট ও ভুয়া কমিটি। কমিটির নেতৃত্ব নির্বাচনে পরীক্ষিত ও মাঠের নেতাদের বাদ দিয়ে অযোগ্য ও অপরিচিত লোকদের দিয়ে সাজানো হয়েছে।

বক্তারা বলেন, আমরা আহ্বায়ক সৈয়দ আলবাব হুসাইন এবং সদস্য সচিব আবদুস সামাদকে দিয়ে কোনো নেতৃত্বের ভূমিকাকে স্বীকৃতি প্রদান করতে পারবো না। আমরা তাদেরকে চিনি না, এমনকি তাদের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পৃক্ততাও নেই। আমরা দীর্ঘ সময় ধরে গণঅধিকার পরিষদ (জিওপি) গোলাপগঞ্জ -এর সাথে অ্যাডভোকেট জাহিদুর রহমানের নেতৃত্বে যুক্ত রয়েছি। এই সময়কালে উক্ত দুই ব্যক্তির কোনো প্রকার কার্যকরী অংশগ্রহণ, অবদান বা সম্পৃক্ততা আমাদের জানা নেই।

আরও পড়ুনঃ  ভাই-বোনের খুনসুটির ইতি, চিরনিদ্রায় পাশাপাশি তারা

তারা আরও বলেন, আমাদের নাম একটি অন্য কমিটির সাথে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও অনৈতিকভাবে সংযুক্ত করা হয়েছে, যার গঠন প্রক্রিয়া সম্পর্কে আমাদের কোনো পূর্বজ্ঞান বা সম্মতি ছিল না। আমরা এই অপরিচিত ব্যক্তিদের নেতৃত্ব, কর্তৃত্ব বা প্রতিনিধিত্ব কোনোভাবেই মেনে নেব না। আমরা অবিলম্বে এই তথাকথিত কমিটি থেকে আমাদের পদত্যাগের ঘোষণা প্রদান করছি।

জানা গেছে, এর আগে গত ১৫ জুলাই গণঅধিকার পরিষদ সিলেট জেলার আহ্বায়ক রহমতে এলাহী লস্কর নাইম ও সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল মামুন সুজন স্বাক্ষরিত এক দলীয় প্যাডে গোলাপগঞ্জ উপজেলার আহ্বায়ক কমিটি ছয় মাসের জন্য অনুমোদন দেয়া হয়। সেখান আহ্বায়ক হিসেবে সৈয়দ আলবাব হুসাইন ও সদস্য সচিব আব্দুস সামাদকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  শহীদের আত্মত্যাগ বিক্রি করে ফায়দা লুটছে জামায়াত: মির্জা আব্বাস

এদিকে, একযোগে ১২ নেতার পদত্যাগের বিষয়টি জানেন না বলে জানান গণঅধিকার পরিষদ সিলেট জেলার সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল মামুন সুজন। তিনি বলেন, কমিটি থেকে পদত্যাগ করার প্রশ্নই আসে না। তাছাড়া আমার কাছে পদত্যাগের ব্যাপারে কেউ আসেনি কিংবা জেলা কমিটিকে অবহিত করেননি। আমাদের ঘোষিত কমিটির সবাই মাঠে সক্রিয় রয়েছেন। তবে যদি কেউ বা কয়েকজন পদত্যাগ করেও থাকেন তাহলে পরে সাংগঠনিকভাবে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ